ফয়জুল কালাম একটি হাদিসের বই যা ইসলামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভিত্তিক মাসআলা নিয়ে সংগৃহীত। এই বইতে আপনি ইসলামিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভিত্তিক হাদিস গুলো পাবেন। বইটি পাঠ করে আপনি হাদীসের আলোকে যে কোন বিষয়ের উপর কথা জানতে বা বলতে পারবেন।
মুফতি ফয়জুল্লাহ (রহ:)(১৮৯০–১৯৭৬)
মুফতি ফয়জুল্লাহ (রহ:) ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, মুফতি, কবি, শিক্ষাবিদ, এবং সংস্কারক। ফতোয়া প্রদানে তার দক্ষতার কারণে তাকে “মুফতি আজম” বা “বড় মুফতি” বলা হয়। তিনি হাটহাজারী মাদ্রাসার শুরুর দিকের ছাত্র ছিলেন এবং দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে উচ্চতর শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রধান মুফতি হিসেবে নিয়োজিত হন।
১৯৩৪ সালে তিনি আসহাবে সুফ্ফার আদলে মেখল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন এবং আমৃত্যু এই মাদ্রাসা পরিচালনার সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি আরবি, ফার্সি ও উর্দুতে প্রায় ১০০টি গ্রন্থ রচনা করেছেন, যা ইসলামিক জ্ঞানের ভাণ্ডারে অসামান্য অবদান রেখেছে।
জীবনী:
জন্ম: ১৮৯০ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানাধীন মেখল গ্রামে।
শিক্ষা: হাটহাজারী মাদ্রাসা ও দারুল উলুম দেওবন্দ।
শিক্ষকতা: দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রধান মুফতি।
প্রতিষ্ঠান: ১৯৩৪ সালে মেখল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা।
মৃত্যু: ১৯৭৬ সালে।
মুফতি ফয়জুল্লাহ (রহ:) এর জীবন ও কর্ম ইসলামী জ্ঞানচর্চায় একটি আলোকবর্তিকা হিসেবে বিবেচিত হয়।
(2) জুনায়েদ বাবুনগরী রহঃ:
১৯৫৩ সালের ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার বাবুনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
৫ বছর বয়সে আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরে ভর্তি হন।
এখানে তিনি মক্তব, হেফজ ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন।
হাটহাজারী মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেন।
উচ্চতর হাদিস গবেষণার জন্য পাকিস্তানের জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়ায় ভর্তি হন।
জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়া থেকে হাদিসের সর্বোচ্চ সনদ লাভ করেন।
কর্মজীবন:
১৯৭৮ সালে দেশে ফিরে আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরে শিক্ষকতা শুরু করেন।
১৯৯১ সালে হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদিস ও প্রিন্সিপাল হিসেবে যোগদান করেন।
২০০৩ সালে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর নির্বাচিত হন।
দীর্ঘ ৩২ বছর হাটহাজারী মাদরাসায় শায়খুল হাদিসের দায়িত্ব পালন করেন।
একজন প্রখ্যাত আলেম ও ধর্মনেতা হিসেবে দেশব্যাপী সম্মান অর্জন করেন।
উল্লেখযোগ্য কর্ম:
হাদিস শাস্ত্রের উপর অসংখ্য বই রচনা করেন।
দেশ-বিদেশে ব্যাপক ধর্মীয় প্রচার-প্রচারণা চালান।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃত্বে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।
মৃত্যু:
২০২১ সালের ১৯ আগস্ট ঢাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
তার মৃত্যুতে মুসলিম উম্মাহর একটি বড় শূন্যতা সৃষ্টি হয়।
জুনায়েদ বাবুনগরী রহঃ ছিলেন একজন জ্ঞানী আলেম, দক্ষ শিক্ষক, অক্লান্ত ধর্মপ্রচারক এবং দৃঢ়চেতা নেতা। তার জ্ঞান, দাওয়াহ ও নেতৃত্বের মাধ্যমে তিনি মুসলিম সমাজে গভীর প্রভাব ফেলেছেন।
Reviews
There are no reviews yet.